শিরোনাম
Passenger Voice | ০৫:০০ পিএম, ২০২২-১০-০৫
ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল জসিম। দায়িত্ব পালন করেন রাজধানীর মালিবাগের আবুল হোটেলের সিগন্যালে। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে দায়িত্ব পালন করলেও তার মুখে সবসময় লেগে থাকে হাসি। হাসিমুখেই সিগন্যাল দিয়ে গাড়ি থামান এ ট্রাফিক সদস্য।
আর এই হাসিমুখে দায়িত্ব পালন করে প্রশংসায় ভাসছেন জসিম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার হাসিমাখা মুখের ছবি ভাইরাল হয়েছে।
মালিবাগ হয়ে কাকরাইল যাচ্ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক কর কমিশনার ও সেন্টার ফর ট্যাক্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের নির্বাহী পরিচালক মো. বজলুল কবির ভূঞা। এ সময় সিগন্যালে আটকা পড়েন তিনি। তার গাড়িটি হাসিমুখে থামান জসিম।
সিগন্যালে আটকে থাকা অবস্থায় জসিমের দায়িত্ব পালনের কিছু সময়ের কথা মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন বজলুল কবির। জসিমের হাসিমাখা মুখের ছবির সাথে জুড়ে দিয়েছেন তার সঙ্গে হওয়া কিছু আলাপচারিতা, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
বজলুল কবির লিখেছেন, ‘কিছুক্ষণ আগে রামপুরা রোড দিয়ে গাড়ি চালিয়ে কাকরাইলের অফিসে আসছিলাম। মালিবাগের আবুল হোটেলের সিগন্যালে এসে হঠাৎ খেয়াল করলাম একজন ট্রাফিক পুলিশ (কনস্টেবল) হাসিমুখে আমাকে থামার জন্য হাত তুললেন, যাতে অন্য দিকের গাড়ি যেতে পারে। আমি থেমে গেলাম।
‘ব্যাপারটা এখানেই শেষ নয়। তার মুখের হাসি দেখে আমি তো অবাক। দেখলাম, সব যানবাহন এমন কি রিকশাওয়ালাকে থামানোর সময়ও তিনি হেসে হেসে সংকেত দিচ্ছেন। আমি তার হাসি দেখে বিস্মিত হলাম। তাকে ডাকলাম কাছে। আমার পরিচয় দিলাম। তিনি মহাখুশি। স্যালুট দিলেন হাসতে হাসতে। আমিও তাকে স্যালুট করলাম। আসলে তিনি স্যালুট পাওয়ার যোগ্যই বটে! এমন একজনকে স্যালুট দিতে আমিও রাজি!’
বজলুল কবির আরও লেখেন, ‘আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি সব সময় হাসিমুখে ডিউটি করেন? জসিম উত্তরে জানালেন, জ্বী স্যার..। জনগণকে হাসিমুখে কথা বললে, সিগন্যাল দিলে তারা আমাকে ভালোবাসে, সম্মান করে। সরকারি কর্মচারীরা জনগণের সাথে হাসিমুখে কথা বলতে চায় না; কিন্তু সবাইকে তো একদিন চলেই যেতে হবে…।
‘আজ মনে হলো, জসিম সাহেবের মতো লাখো মানুষ দরকার, যারা সরকারি কর্মচারী হবে। জসিম সাহেবকে বানাতে হবে সেসব নব নিয়োগপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের ১ দিনের প্রশিক্ষক। তিনি শেখাবেন কী করে হেসে হেসে কথা বলতে হয় জনগণের সাথে।’
সাবেক এ কর কমিশনার আরো লিখেছেন, ‘ছবিটি তার অনুমতি নিয়ে তুলেছি। বলেছি ফেসবুকে দেব আজকের ঘটনা। তিনি সম্মতি দিয়ে আবার স্যালুট দিলেন সিগন্যাল ছেড়ে..। আসুন তাকে পরিচিত করি সবার কাছে, সবাইকে তার বিষয়টি শেয়ার করে। দেশের অনেক আগাছা শিখুক তার কাছ থেকে। সাকিব খানকে ভাইরাল না করে জসিম সাহেবকে করুন।’
বজলুল কবিরের এ পোস্ট তিন হাজারের বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারী শেয়ার করেছেন। মন্তব্য এসেছে আড়াই হাজারের কাছাকাছি। মন্তব্যে সবাই ট্রাফিক পুলিশ জসিমকে স্যালুট জানিয়েছেন।
প্যা.ভ/ম
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2024 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.